দেখো আমরা পেরিয়ে এসেছি
তিনটি মানুষ-কাল
ফুলের কোরক, বিকশিত দল
পেরিয়ে এসেছি ফল ও ফসল সবুজ প্রান্তর।
তোমার খুকিকালে বাঁধা কাল্পনিক স্বপ্নের সংসার
মাথায় গামছা বেঁধে আমিও এক গেরস্ত বালক
বিভিন্ন সদাইপাতি, ইঁদুরের গর্তের মিহিমাটির চিকন চাল
কচুরিপানার ডাঁটার মোরগ, ইলশেগাছের ইলশে মাছ, এটা সেটা আরও কতো কী
কলাপাতার ছাউনী দেয়া ঘরটা সারাই না বলে তোমার কতো অনুযোগ
সাথে গয়নার দাবিও ছিল
আমি অবশ্য ধানের ফলনের কথা বলেছিলাম, বেশি হলে অবশ্যই কিনে দেব।
এসব হতো আমাদের খেলাধুলায়।
তারপর তুমি কিশোরী হয়ে গেলে
কিছুটা বদল আমারও
একটা ঘোর ঘোর সময়ের কাছে
স্বপ্ন স্বপ্ন অবয়ব ঘোরে, নয়ন রঙিন হয়,
অজানা বোধের বাঁধে ফুটে উঠি বিভিন্ন গোলাপ
শিহরণ জাগে।
আহ্ এই তো জীবন!
তারপর আমি তুমি আরও বদলে যাই।
আমি বলিষ্ঠ যুবক, তুমিও যুবতী
সাগরের ঢেউ আসে মনে
অতি সন্তর্পণে
আমরা শরীরি হই অমোঘ বাঁধনে
বালক বেলার কথা মনে পড়ে
আমাদের সেইসব সাংসারিক কাজ
কেমন বদলে গেছে
আমাদের দুজনেরই শরীর ফুটেছে।
আমরা ফলাই ফসল, যত্ন দেই পরম আদরে।
মনে পড়ে? শৈশব-সংসারে গাছের পাতার টাকা প্রচলিত ছিল-
এখন কাগুজে- গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে চলে না
যাকগে সেসব কথা
তুমি নানি, আমি নানা
এখন তো শরীরেও সেরকম পরশ লাগে না।
যা-ই বলো নাতিরা বেশ হৃদয় কেড়েছে,
কীরকম মায়ায় বেঁধেছে।