সহসাই ধারালো শব্দের অর্থময় গুনগুন
ঘুমেই কে যেন জিজ্ঞাসিল “নিজকে জানার তরসা আছে?”
বছরপাঁচেক আগেই জানার দম্ভ— আনমনে কেটে গেছে তরবারি
বৃথা আস্ফালনের বেবাকই ছদ্মবেশ— কাঁটাবন সয়ে
ধরাধামে গ্রন্থে-পান্থে যা পেয়েছি,
তা-ই দেবো অদৃষ্ট চরণে।
মানুষজনের ক্ষোভ তিরস্কার পরোয়া করিনি
ক্ষণিকের চমক পারেনি ছুঁয়ে যেতে এই দীর্ঘ সত্য জানি—
ভূমিমূলে সুর তাল বাজে খুঁজে খুঁজে বহে বেলা,
কেন তবে লক্ষ্যেভেদে নাচবো বানর সেজে
নিভৃতে বন্দনা গেয়ে আগুন কি নেভে কভু অধম মরণে।
অতৃপ্ত হৃদয়ে অন্ধকার ছুঁয়েও নিরন্তর জ্বলা যায়
একান্ত একার অনুগত সকাল বিকাল রাতে
তোমাদের পাশে বসে অনুভব করি
পরিচয় আবশ্যিক— ভিড় নয়,
আবশ্যিক পরিচয় ভিড় সয়—
সেটাও তো নিরর্থক করুণার প্রীতি।